চাইলেই আপনি চলে যেতে পারেন না আমেরিকা কিংবা ফ্রান্স। কেন? বর্ডার নামক এক কিম্ভুতকিমাকার বস্তু যে উপস্থিত! বর্ডারের সংজ্ঞা নানা প্রকার, তবে ওটা যে নির্দিষ্ট এক অঞ্চলের মানুষের ওই অঞ্চলের সব সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখার প্রয়াস বই নয়, তাতে নিঃসন্দেহ থাকা যায়। চেষ্টা করেই দেখুন ইংল্যান্ডে ঘুরতে গিয়ে একটা ব্যবসা করার, হাড়ে হাড়ে টের পাবেন। ওয়ার্ক-পারমিট বা ওয়ার্ক-ভিসা ছাড়া অন্য দেশের নাগরিককে একটা পয়সা পর্যন্ত নিতে দেবে না উন্নত কোনও দেশ। শরণার্থি নেবার বেলাতেও সবাই একজোট। তাদের ভাত আরেক অঞ্চলের লোক খেয়ে ফেলবে এটা মেনে নেবে কে! অথচ ধনী দেশ আমেরিকার সম্পদ থেকে খানিকটা ধার দিলেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সোমালিয়ার মানুষ। কিন্তু দেবে না। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এভাবে ধনী হতে পারে আরও ধনী। গরিব থাকে আরও গরিব। গত শতকে মানুষ ভেবেছিল দুনিয়া অনেক এগিয়ে যাবে একশ বছর পর। দুনিয়া এগিয়েছে ঠিকই। টেসলার এলন মাস্ক রকেট ছুঁড়ছেন দিগ্বিদিক। ফাইভ-জি আর লাই-ফাই দিয়ে যোগাযোগ করছে পশ্চিমাবিশ্বের মানুষ, গিগাবাইট পার সেকেন্ড পাওয়া যায় ফ্রি-ওয়াইফাই জোনে। বাংলাদেশের মানুষ থ্রি পয়েন্ট ফাইভ জি নিয়েই টিকে আছে। আফ্রিকার অনেক দেশে টুজি পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার। সিরিয়া, কিংবা ইরাক, কঙ্গো আর ফিলিস্তিনে ভিক্ষা-চাইনে-কুত্তাটা-সামলান দশা; ফাইভ-জি দূরে থাকুক, বাঁচার অধিকার পাওয়াই সেখানে দুষ্কর। সভ্যতা এবং মানুষ এগিয়ে যায় বটে, তবে সবাইকে নিয়ে নয়। তিনশ বছর পর, মানুষের এই স্বভাব চরিত্র কিছুমাত্র বদলে গেছে? সে সময়ে বাংলাদেশের বর্তমান চট্টগ্রাম অঞ্চলে জেগে উঠলো এক্স-মিলিটারিম্যান, সায়েন্টিস্ট মাহমুদ, “ডিপস্লিপ" নামক টেকনোলজির আবিষ্কারক। ভেবেছিল ৩০০ বছর পরের সভ্যতা দেখে তাক লেগে যাবে তার। অথচ আবিষ্কার করলো এক উন্মাদ জগত। হেলমেট-বাহিনী আর তাদের সংগঠনের কথাই এখানে আইন! মাহমুদ আবিষ্কার করলো নতুন এক বিশৃঙ্খল-জগত! দুর্ভেদ্য এক ডিসটোপিয়া...
জন্ম ৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৯৩, রাজশাহীর ক্রিশ্চিয়ান মিশন হসপিটালে। শৈশব কেটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কৈশোর ঢাকায়। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক। অনলাইন ও অফলাইন মাধ্যমে গল্প লিখে লেখালেখির ক্যারিয়ার শুরু হয়। পরবর্তীতে উপন্যাসের জগতে পদচারণা “মিথস্ক্রিয়া”, “মৃগতৃষা”, “আগুনের দিন শেষ হয়নি”, “যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল” নিয়ে। অনুবাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রেগ হুরউইটযের “অরফান এক্স”, পলা হকিন্সের “দ্য গার্ল অন দি ট্রেন” এবং ক্যারিন স্লটারের “ফলেন”। চিত্রনাট্য লিখেছেন একাধিক। আন্তর্জাতিক ফিল্মফেস্টে প্রথম পুরস্কার পাওয়া এমন এক শর্টফিল্ম “আ টয় অপারেশন থিয়েটার”। লেখকের বর্তমান মূল মনোযোগ উপন্যাস রচনা ও চলচ্চিত্র নির্মাণে।