"আনন্দমহল" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ ‘আনন্দমহল’ একটি পারিবারিক গল্প। গল্পের নায়ক পুণ্য আর তার ভাইবােনেরা ঢাকায় থাকে। তাদের বাবা-মা। থাকেন দেশের বাড়িতে। তাদের বাড়ির নাম ‘আনন্দমহল’। ‘পুণ্য’ মনে মনে ভালােবাসার বাঁধনে বাঁধা পড়েছে তার বাবার বন্ধুর মেয়ে প্রাপ্তির সঙ্গে, যে একইসঙ্গে তাদের প্রতিবেশী। কিন্তু প্রাপ্তি একজন রহস্যময়ী নারী। তার আচরণ খুবই অদ্ভুত। অনেকদিন দেশের বাড়িতে সবাই একসঙ্গে হওয়া হয় না বলে পুণ্য এবং তার ভাইবােনেরা পরিকল্পনা করে, বাবা-মায়ের চল্লিশতম বিবাহবার্ষিকীতে তাঁদের চমকে দিতে সবাই মিলে একসঙ্গে বাড়িতে যাবে। সেজন্য প্রস্তুতিও চলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎই জীবনের ছন্দপতন ঘটে। পুণ্য প্রাপ্তির কাছ থেকে জানতে পারে তার বাবা-মা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন করে বিয়ে করার। এ খবর শুনে পায়ের নিচের মাটি কেঁপে ওঠে পুণ্যসহ তার বাকি দুইভাই আর দুইবােনের। তারা টের পায়, বেশ অনেকদিন ধরে বাবা-মায়ের সঙ্গে তারা একত্রিত হয় না। তারা শুধু টেলিফোনেই যােগাযােগ করেছে। হয়তাে তাই এই সময়ে বাবা-মায়ের মধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। তারা ভাইবােনেরা পরিবারসহ ছুটে যায় বাবা-মায়ের কাছে। অবশেষে কী হয়েছিল পুণ্যদের জীবনে? তারা কি পেরেছিল বাবা-মাকে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফেরাতে? পুণ্য আর প্রাপ্তির কি মিল হয়েছিল? ‘আনন্দমহল’-এ কি আনন্দ ফিরে এসেছিল নাকি সব তছনছ হয়ে গিয়েছিল পুণ্যের বাবা-মায়ের সেই সিদ্ধান্তে?
শাতিল রাফিয়ার জন্ম ২৩ জুলাই। পড়েছেন হলিক্রস গার্লস হাই স্কুল, হলিক্রস কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে। বর্তমানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.ফার্ম করছেন । পিতা মােঃ আব্দুস সাত্তার এবং মাতা শাহনাজ বেগম । বেড়ে উঠেছেন পিতা-মাতাসম সৈয়দ আলমগীর এবং সালমা আলমগীরের স্নেহ, ভালােবাসা এবং সান্নিধ্যে । ছােটবেলা থেকেই লেখালেখি করেন । ২০১৮ সালে বড় বােন ডা. সৈয়দা জিনিয়া জাফরীনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে পরিচিত হন । সেখানে এক সাহিত্য পেইজে গল্প লেখা শুরু করেন । এভাবেই তার গল্প ধীরে ধীরে পৌঁছে যায় অগণিত পাঠক-পাঠিকার কাছে। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তিনি তৈলচিত্র আঁকতে ভালােবাসেন । ‘আনন্দমহল’ তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস।